কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কার্য ভাঙচুরে গ্রেফতার ৪

সুমনসেন চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি-

কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্যে ভাঙচুরকারীদের চার জনকে আটক করে কুষ্টিয়ার পুলিশ। এ ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে। নং ৮/ আজ ০৬/১২/২০। বেলা সাড়ে ১১ দিকে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্তিত ছিলেন কুষ্টিয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।
বিশেষ এই সভায় যোগ দেওয়ার আগে মাহবুবউল আলম হানিফ সাংবাদিকদের বলেন, শুক্রবার গভীর রাতে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে ভাঙচুর কারীদের ইতিমধ্যেই শনাক্ত করা হয়েছে, দ্রুতই গ্রেফতারের জন্য সংবাদ পাওয়া যায়।
এদিকে, কুষ্টিয়্য়া বঙ্গবন্ধু ভাষ্কর্য ভাঙচুরের ঘটনার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে। এদিকে ভাষ্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক জনাব আসলাম হোসেন।
বৈকাল ভাঙচুরের বর্ণনা দিয়ে বিকালে প্রেস ব্রিফ করেছে কুষ্টিয়া পুলিশ। ব্রিফ করেন, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজ ড. খ. মহিদ উদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত।
ব্রিফিং বলা হয়, সিসি ক্যামেরার ফুটেজের কারণেই জড়িতদের আটক করা সম্ভব হয়। সিসি ক্যামেরায় দেখা যায়, দুই ব্যাক্তি সাদা পায়জামা-পাঞ্জাবী ও কালো কোট পরে নির্মাণাধীন ভাষ্কর্ষের ওপরে ওঠেন একজনের ব্যাগে থাকা হাতুরি দিয়ে ভাষ্কর্য ভেঙ্গে ফেলে দেয়। এই ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযানে নামে ডিবি, ডিএসবি ও কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ। এসময় তারা ইবনি মাসউদ মাদ্রাসার অন্য দুই ছাত্রকে আটক করে। তারা এই ফুটেজ দেখে ভাঙচুর কারীদের চিনে ফেলে। পরে ভাঙচুর কারীরা দুই জন ওই মাদ্রাসার ছাত্র মো. আবু বক্কর ওরফে মিঠুন (১৯) এবং মো. সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদ (২০) কে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
আটক ভাঙচুরকারীরা পুলিশের কাছে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। তারা বলেছেন, মাওলানা মামুনুল হক ও ফজলুল করিমের ওয়াজ শুনে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন তারা। বৃহস্পতিবার রাতে ১০টায় মাদ্রাসার সবাই ঘুমিয়ে পড়লে তারা গোপনে বের হয়ে আসেন। দীর্ঘ পথ পায়ে হেটে তারা ভাষ্কর্যের কাছে আসে। ভাষ্কর্যের নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত মই দিয়ে উঠে হাতুরি বের করে ভাঙচুর চালায়। এরপর আবার পায়ে হেটে গিয়ে আবার মাদ্রায় ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে উঠে তারা দুই শিক্ষকের সঙ্গে বিষয়টি শেয়ার করলে তারা পালিয়ে যেতে বলেন। পুলিশ ওই দুই শিক্ষক মো. আল আমিন এবং মো. ইউসুফ আলীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়।